শিরোনাম:
শিরোনাম:
সুস্থ জাতি গঠনে পুষ্টি ও সচেতনতার গুরুত্ব – মাঠ নেই, পুষ্টি নেই, প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবিক সংকট নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বার্তা “দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ: তারেক রহমানের তারুণ্য সমাবেশে দৃপ্ত ঘোষণা” শাপলার গণহত্যার সমর্থক শাহবাগীদেরও বিচার করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিকের পরিবারের ৯ জন নিহত ডিআরএস ছাড়াই মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ মণিপুরে শক্তিশালী ভূমিকম্প ঢাকাসহ বাংলাদেশে কম্পন অনুভূত জুলাই ঐক্যের বিবৃতি আমলাতান্ত্রিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বাফুফের টিকিট ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা হতাশ ফুটবলপ্রেমীরা কোরবানির বর্জ্য ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব প্রদান প্রসঙ্গে আইএসপিআরের স্পষ্ট বক্তব্য

সচিবালয়ে সম্ভাব্য ক্যু নিয়ে সতর্কবার্তা, সাবধান থাকার আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর

নিউজ ডেস্ক
সময় : সোমবার, মে ২৬, ২০২৫

গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকে দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ে একের পর এক আন্দোলন দেখা যাচ্ছে। সরকারের নানা সিদ্ধান্ত ও আইনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। সর্বশেষ, তারা একটি নতুন আইনের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন এবং স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—যদি আইনটি বাতিল না করা হয়, তাহলে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা বন্ধ করে দেবেন। এই ঘোষণা প্রশাসনিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।

 

এই প্রেক্ষাপটে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে সম্ভাব্য ক্যু বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখপাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলেন। পোস্টে তিনি সরাসরি সচিবালয়ের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডকে ‘ক্যু’ আখ্যা দেন এবং জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার পোস্টে লিখেন, “জনদুর্ভোগ ও ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত করার ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ের ক্যু সম্পর্কে সচেতন থাকুন। পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ করে, হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে অফিস করা সচিবালয়ের কর্মকর্তারা তাদের ক্যু অব্যাহত রাখলে তাদের পরিণতি পতিত হাসিনার মতো হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। সুতরাং, সাবধান!”

 

তরুণ এই রাজনীতিবিদের এমন বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর প্রশাসনের কিছু অংশে এখনও পুরনো ধ্যান-ধারণা রয়ে গেছে, যা গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কিছু সিদ্ধান্ত এবং আচরণ নতুন সরকারকে চাপে ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর সতর্কবার্তা এই বাস্তবতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচন করেছে। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, দেশের মানুষ অতীতের মতো আর নির্বিকার নয়। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক তৎপরতার জবাব দিতে প্রস্তুত। তাঁর মতে, সচিবালয়ে যদি কেউ আবারও জনগণের রায় অমান্য করে কাজ করতে চায়, তবে তাদের পরিণতিও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়া ব্যক্তিদের মতো হবে।

 

এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত জনগণ যেমন অধিকার সচেতন, তেমনি প্রশাসনের প্রতিটি স্তরকেও সেই চেতনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে—এমনটাই এখন সময়ের দাবি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

Tags

ChatGPT Icc T20 অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আপিল বিভাগে স্থগিত ইসরায়েলি হামলা উপদেষ্টা পরিষদ এইচএসসি কোটা আন্দোলন গণতন্ত্র গাজা গ্রেপ্তার ১২ চৌরাস্তা বাজার জাতীয় ঐক্য ড. ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমান ত্রিশাল নাহিদ ইসলাম নির্বাচন পাকিস্তান প্রধান উপদেষ্টা প্রশাসনিক সংস্কার প্রাথমিক বিদ্যালয় ফিলিস্তিন বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয় দল বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি ভারত ময়মনসিংহ মানবতা মানবাধিকার মুসলিম উম্মাহ মুহাম্মদ ইউনূস রাজনীতি রাজনৈতিক দল শিল্পায়ন শেখ হাসিনা সচিবালয় সিলেটে কারফিউর মধ্যেও থেমে নেই চিনি চোরাচালান সুশাসন সেনাবাহিনী ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণের পরিমাণ

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর