পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের দাবিতে তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ‘জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’। রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্য সচিব মো. মিয়া হোসেন স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মোট ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে দেশের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা এমন ছুটির সুযোগ থেকে প্রায়শই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। গণমাধ্যমে কর্মরত এসব পেশাজীবীরা জাতীয় উৎসবগুলোতেও ন্যায্য ছুটি পান না, যা পেশাগত ভারসাম্য এবং তাদের পারিবারিক জীবনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সংবাদকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের সংবাদপ্রবাহ সচল রাখেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সচেতনতা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাই তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে ছুটি ভোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এবারের ঈদুল আজহায় পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা না করা হলে সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হতে পারে।
এ অবস্থায় ‘জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’ দাবি জানায়, সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ দিনের ঈদের ছুটি ঘোষণা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হোক। একইসঙ্গে অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও গণমাধ্যমের ছুটি নিশ্চিতে একটি দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালা প্রণয়ন করার আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ছুটি কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি মৌলিক মানবিক ও পেশাগত অধিকার। সাংবাদিকরাও নাগরিক সমাজেরই অংশ, যারা পরিবার ও সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দ ভাগাভাগি করার অধিকার রাখেন। অথচ বারবার তাদের এই অধিকার উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
তাই আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের ছুটি ভোগের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমন একটি সময়ে এই দাবি উত্থাপিত হলো যখন সরকার গণমাধ্যমের বিকাশ এবং সাংবাদিকদের পেশাগত সুরক্ষা নিয়ে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্মারকলিপির মাধ্যমে জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে, সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের এই যৌক্তিক দাবি আমলে নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং একটি মানবিক ও পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গেজেট আকারে ছুটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।