শিরোনাম:
শিরোনাম:
সিম নিবন্ধনে নতুন সীমা নির্ধারণ: বিটিআরসির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন উনিশ বছরের অপেক্ষা: বাবার স্বীকৃতি চান মৌমি সবার জন্য সতর্ক বার্তা দিল পুলিশ সদর দপ্তর সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি সোমবার থেকে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি সোমবার থেকে সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি সোমবার থেকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নিবন্ধন পুনর্বহালের দাবি ঈদুল আজহায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পাঁচদিনের ছুটির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান ঈদুল আজহার আগে ও পরে পোশাকশিল্প-সংশ্লিষ্ট এলাকায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি

মো : সবুজ মিয়া
সময় : রবিবার, মে ২৫, ২০২৫

নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে নির্বাচনে ৩৩% প্রার্থীতার দাবি

রাজনীতিতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন, যেখানে সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সামিনা লুৎফার মতে, সময় এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নারীদের রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। অতীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন শেষে তারা পুনরায় পারিবারিক জীবনে ফিরে গেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ধারা থেকে ছিটকে পড়েছেন। এবার তরুণ প্রজন্মের নারীরা রাজনীতিকে পেশা ও দায়িত্ব হিসেবে নেওয়ার প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

এই প্রেক্ষাপটে সামিনা লুৎফা রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান, তারা যেন এমন বার্তা দেয় যা নারীদের এই অগ্রযাত্রায় সহযোগী হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারীদের অন্তর্ভুক্তি একটি নির্দিষ্ট কোটার মাধ্যমে নিশ্চিত করলেই কেবল তাদের অংশগ্রহণ টেকসই হবে না, বরং তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামোও গড়ে তুলতে হবে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এই কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে জনমনে তুমুল বিতর্ক হয়েছে, যা একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার লক্ষণ। তবে এমন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং সংস্কারের পথ সুগম হয় বলে তার বিশ্বাস।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনীতিতে বারবার স্বৈরতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসার প্রবণতা দেখা গেছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ও নীতিনির্ধারকদের জবাবদিহিমূলক কাঠামোর আওতায় আনা উচিত।

সামিনা লুৎফা আরও বলেন, নাগরিক হিসেবে তার প্রত্যাশা, নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নারীর অধিকারের সুরক্ষা, প্রান্তিক ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার—এই মৌলিক বিষয়ের ওপর জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠুক। কোনো রাজনৈতিক দল যদি এসব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে, তাহলে ঐকমত্য কমিশনের উচিত তা ব্যাখ্যা করে বোঝানো।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সুশীল সমাজের ১১ জন প্রতিনিধি এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই সভার আলোচনায় উঠে আসে যে, নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে না—বরং প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কারও জরুরি। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের রাজনৈতিক সচেতনতা ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার বিকাশ প্রয়োজন।

বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারী নেতৃত্ব দৃশ্যমান হলেও তা এখনও সংখ্যাগতভাবে সীমিত। সংরক্ষিত আসনের বাইরে সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নারীর সংখ্যা খুবই কম। এই বাস্তবতায় সামিনা লুৎফার প্রস্তাবনা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নীতিনির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে।

তাঁর মতে, কেবলমাত্র নির্বাচনী কোটাই যথেষ্ট নয়; রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, নীতিনির্ধারণী পর্ষদ এবং মাঠ পর্যায়ে নারীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দিতে হবে।

তিনি এ-ও বলেন, নারী নেতৃত্বে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো মনোভাব ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা দূর করতে শিক্ষাব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক সাফল্যের ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরলে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরি হবে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারী প্রতিনিধিত্বের একটি জরুরি দাবি হিসেবে গণ্য হতে পারে। এটি বর্তমান সময়ের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার প্রতিফলন, যা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

Tags

ChatGPT HSC Icc T20 অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন হয় না আপিল বিভাগে স্থগিত ইমরান খান উপদেষ্টা পরিষদ এইচএসসি এইচএসসি ও সমমান কোটা কোটা আন্দোলন খালেদা জিয়া গণতন্ত্র গ্রেপ্তার ১২ চৌরাস্তা বাজার জেলা প্রশাসক ড. ইউনূস ত্রিশাল দুদক নন-ক্যাডার নাহিদ ইসলাম নির্বাচন পাকিস্তান প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেল প্রশ্নফাঁস প্রাথমিক বিদ্যালয় ফিলিস্তিন বাংলাদেশ বাংলা ব্লকেড বিএনপি বিজিবি বিজিবি মোতায়েন ভারত ময়মনসিংহ মানবাধিকার রাজনীতি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনা সমমান সিলেটে কারফিউর মধ্যেও থেমে নেই চিনি চোরাচালান ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণের পরিমাণ

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর