এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার পরিবার ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা আরও ৩৩২ দশমিক ১৬ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৯৭টি দলিলে থাকা এসব জমি জব্দের আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১১ মার্চ) দুদকের পক্ষে উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
মানি লন্ডারিং তদন্ত ও সম্পদ জব্দ
আদালতে দাখিল করা দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তদন্ত চলছে। তদন্তে দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অনিয়মিতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া, তারা এসব সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে যদি সম্পদ স্থানান্তরিত হয়ে যায়, তাহলে তা উদ্ধার করা কঠিন হবে। তাই এস আলম ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ অবিলম্বে জব্দ করা জরুরি বলে মনে করছে দুদক।
এর আগে একাধিক সম্পদ জব্দের নির্দেশ
এর আগেও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সম্পদ জব্দ ও অবরোধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
৭ অক্টোবর ২০২৩: এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪: এস আলম ও তার পরিবারের ৩,৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার মূল্যের ১৭৫ বিঘা জমি জব্দ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: এস আলম পরিবারের ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ (মোট বাজারমূল্য ৫,১০৯ কোটি টাকা)।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪: এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ।
ধাপে ধাপে সম্পদ জব্দ ও শেয়ার অবরোধের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।