Vivo T4 Ultra স্মার্টফোনটি ২০২৫ সালে স্মার্টফোন দুনিয়ায় এক নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে। এই ডিভাইসটি শুধু যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিচ্ছে তা-ই নয়, বরং এর ডিজাইন, ক্যামেরা এবং চার্জিং ক্ষমতা সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
Vivo T4 Ultra দেখতে যেমন চমৎকার, তেমনই এর গঠনও বেশ পাতলা (মাত্র ৭.৫ মিমি) এবং ওজন মাত্র ১৯২ গ্রাম। এতে রয়েছে 6.67 ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে যা 120Hz রিফ্রেশ রেট, 1B কালার এবং 5000 nits পর্যন্ত উজ্জ্বলতা দিতে সক্ষম। এর স্ক্রিন রেজোলিউশন 1260 x 2800 pixels এবং পিক্সেল ডেনসিটি 460 ppi, ফলে ভিডিও দেখা কিংবা গেম খেলা—সবই হবে আরও প্রাণবন্ত।
Vivo T4 Ultra স্মার্টফোনে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপঃ
৫০ মেগাপিক্সেল (ওয়াইড)
৫০ মেগাপিক্সেল (পেরিস্কোপ টেলিফটো) – ৩X অপটিক্যাল জুম
৮ মেগাপিক্সেল (আলট্রাওয়াইড)
সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা দিয়ে 4K ভিডিও রেকর্ডও সম্ভব।
এই স্মার্টফোনে রয়েছে MediaTek Dimensity 9300+ (4nm) চিপসেট, এবং Octa-core CPU –
১x ৩.৪ GHz Cortex-X4
৩x ২.৮৫ GHz Cortex-X4
৪x ২.০ GHz Cortex-A720
গ্রাফিক্সের জন্য রয়েছে Immortalis-G720 MC12 GPU যা গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা মাল্টিটাস্কিং সবকিছুর জন্য আদর্শ।
তুমি পাবে ৮ জিবি বা ১২ জিবি র্যামের অপশন এবং ২৫৬ জিবি বা ৫১২ জিবি UFS 3.1 স্টোরেজ। যদিও এতে এক্সটারনাল মেমোরি কার্ড নেই, তবুও এই বিশাল ইন্টারনাল স্টোরেজ দিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
Vivo T4 Ultra-এ রয়েছে 5500 mAh ব্যাটারি, যা ৯০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা দেয়। মাত্র ৪৮ মিনিটেই ১০০% চার্জ! এছাড়াও রয়েছে Reverse Wired Charging ফিচার।
এই ফোনে রয়েছে—
Wi-Fi 802.11 a/b/g/n/ac/6
Bluetooth 5.4
USB Type-C 2.0 ও OTG
NFC সাপোর্ট
GPS ও A-GPS
এছাড়া রয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরো, প্রোক্সিমিটি ও কম্পাস সেন্সর।
IP64 সার্টিফায়েড, অর্থাৎ এটি ধুলো প্রতিরোধী এবং পানির ছিটা থেকে সুরক্ষিত।
এই স্মার্টফোনের আনুমানিক মূল্য বাংলাদেশে ৬৪,৯০০ টাকা। তবে বাজারে আনুষ্ঠানিক রিলিজের সময় দাম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
Phoenix Gold
Meteor Grey
MediaTek Dimensity 9300+ (4nm) চিপসেট এবং Octa-core CPU এই দামে একদম টপ লেভেলের। যারা গেম খেলে, ভিডিও এডিট করে বা হেভি মাল্টিটাস্কিং করে – তাদের জন্য একেবারে পারফেক্ট।
6.67″ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে, 1B কালার, 120Hz রিফ্রেশ রেট, এবং 5000 nits পিক ব্রাইটনেস—এই রকম স্ক্রিন সাধারণত দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই দেখা যায়।
উন্নত ক্যামেরা সেটআপ দিয়ে প্রোফেশনাল কোয়ালিটির ছবি ও 4K ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।
মাত্র ৪৮ মিনিটে ফুল চার্জ! – সময় বাঁচানোর জন্য এটি একটি বড় সুবিধা।
স্মার্টফোন একটু জল লাগলে বা বৃষ্টিতে ছিটা পড়লেও চিন্তার কিছু নেই।
সাউন্ড ও গ্রাফিক্স – দুটোই একসাথে অপ্টিমাইজড। গেমিং ও সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা হবে আরও বাস্তব।
যারা এক্সটারনাল মেমোরি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এটি একটি সীমাবদ্ধতা।
পুরানো হেডফোন বা AUX ব্যবহারকারীদের জন্য এটি হতাশার কারণ হতে পারে।
অনেকেই এখনো FM রেডিও ব্যবহার করেন। এই ফিচার না থাকাটা কিছু ব্যবহারকারীর জন্য নেতিবাচক হতে পারে।
গ্লাস ফিনিশ হওয়ায় ফোনটি হাত থেকে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা বেশি—ব্যবহার করতে হবে কভারের সাথে।
দামী ক্যামেরা হার্ডওয়্যার থাকলেও সফটওয়্যার AI ফিচারে কিছুটা ঘাটতি আছে Samsung বা Google এর তুলনায়।
যদি আপনি একটি শক্তিশালী প্রসেসর, দুর্দান্ত ডিসপ্লে, প্রিমিয়াম ডিজাইন, এবং উন্নত ক্যামেরা চান – তাহলে Vivo T4 Ultra হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট চয়েস।