প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জাতীয় সংস্কার কমিশনের সব রিপোর্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এখন এসব প্রতিবেদন নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করছে, নিজেদের মধ্যে বিতর্ক (ডিবেট) ও সংলাপ (ডায়ালগ) চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ অনেকটাই রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এক গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঠানোর পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা
এই মাসের মধ্যেই ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটি নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সময় প্রয়োজনের ওপর। তিনি বলেন,
“পার্টিগুলো যদি বেশি সময় নেয়, তা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কী ধরনের পার্লামেন্ট চান, বিচার বিভাগ (জুডিশিয়ারি) সংস্কার, পুলিশের রি-ফর্ম, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ সংস্কার—এসবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে এবং তারা যথাযথভাবে মতামত পাঠাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
পরবর্তী ধাপে কী?
প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলো যখন তাদের মতামত জমা দেবে, তখনই বোঝা যাবে কোন দল কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। এ সম্পর্কিত তথ্য ও বিশ্লেষণ ঐকমত্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:
জাতীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্লেষণ করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাঠানো হবে এবং তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
দ্বিতীয় বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি, কারণ দলগুলো এখনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছে।
বিচারব্যবস্থা, পুলিশ, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো গভীর বিশ্লেষণে ব্যস্ত।
এই আলোচনা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই দেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামো নির্ধারিত হবে বলে প্রেস সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।