বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদের অপসারণ দাবি করেছেন। একইসঙ্গে গত ১৬ বছরে বাসসের শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পুরানা পল্টনে বাসস কার্যালয়ের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এই দাবি জানান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ডিইউজে সহ-সভাপতি কবি রফিক মোহাম্মদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য আবু হানিফ, ডিইউজের দফতর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, ফখরুল ইসলাম, ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর এবং শাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়, তোপখানা রোড হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ
বক্তারা মাহবুব মোর্শেদকে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে বলেন, তার স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা অভিযোগ করেন, মাহবুব মোর্শেদ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন এবং তার দুর্নীতির ফলে বাসস চরম অরাজকতার মুখে পড়েছে।
সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেও মাহবুব মোর্শেদ বহাল থাকায় সরকারকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা অবিলম্বে তার অপসারণ এবং দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানান।
আগামী ২৪ মার্চ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা
সমাপনী বক্তব্যে ডিইউজে সভাপতি মাহবুব মোর্শেদকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, যদি তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে আগামী ২৪ মার্চ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং একই দিন প্রধান উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
সাংবাদিক নেতারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং এই আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন।