August 3, 2025, 3:57 am
শিরোনাম:
শিরোনাম:
Oppo F29 রিভিউ ও সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন | দাম, ফিচার ও কেন কিনবেন? 📱 Vivo T4R (২০২৫) রিভিউ: দাম, সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন, ফিচার ও কেন কিনবেন? 📱 iPhone 17 Air ২০২৫: আল্ট্রা-স্লিম ডিজাইনের নতুন যুগ | সম্পূর্ণ বাংলা রিভিউ ও স্পেসিফিকেশ Infinix Hot 60 Pro+: অত্যাধুনিক ফিচারে ঠাসা বাজেট-ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন Vivo Y400 স্মার্টফোন: বাংলাদেশের বাজারে ২০২৫ সালের সেরা বাজেট 5G ফোন Oppo Reno 14 5G রিভিউ: প্রিমিয়াম ডিজাইন ও দুর্দান্ত ক্যামেরার অসাধারণ অভিজ্ঞতা 📱 Infinix Hot 50 5G – সম্পূর্ণ রিভিউ ও বিস্তারিত তথ্য H-One Pro Review: 7 Powerful Reasons This Brilliant Modular Phone Concept Could Change the Future 📱 Honor Magic V Flip 2: দাম, স্পেসিফিকেশন ও কেন কিনবেন/কেন নয়? OnePlus Nord 5 – স্পেসিফিকেশন, ভালো-মন্দ ও কেন কিনবেন?

Vivo Y50 5G (2025): দুর্দান্ত ব্যাটারি ও বাজেট 5G ফোন? জেনে নিন ফুল রিভিউ

মোঃ মাহবুবুল আলম
সময় : বুধবার, জুলাই ২৩, ২০২৫
Vivo Y50 5G

বর্তমানে বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো 5G ফোনের সহজলভ্যতা। যারা বাজেটে 5G স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য Vivo নিয়ে এসেছে নতুন Vivo Y50 5G

এই ফোনটি চীনে ২১ জুলাই ২০২৫-এ লঞ্চ হয়েছে। মিড-রেঞ্জ বাজেটের মধ্যে 6000mAh ব্যাটারি, Dimensity 6300 প্রসেসর, এবং 5G কানেক্টিভিটি—সব মিলিয়ে এই ফোনটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো:
✅ Vivo Y50 5G-এর ফুল স্পেসিফিকেশন
✅ কেন কিনবেন, কেন কিনবেন না
✅ প্রাথমিক রিভিউ ও বিকল্প অপশন

Vivo Y50 5G

Vivo Y50 5G

চলুন শুরু করা যাক।


Table of Contents

Vivo Y50 5G: সংক্ষিপ্ত স্পেসিফিকেশন

ফিচার বিবরণ
ব্র্যান্ড Vivo
মডেল Y50 5G
লঞ্চের তারিখ ২১ জুলাই ২০২৫
প্রসেসর MediaTek Dimensity 6300
র‍্যাম 4GB
রম 128GB
ডিসপ্লে 6.74 ইঞ্চি HD+ (720×1600), 90Hz রিফ্রেশ রেট
ব্যাটারি 6000mAh (44W ফাস্ট চার্জিং)
ক্যামেরা পিছনে 13MP, সামনে 5MP
অপারেটিং সিস্টেম Android (OriginOS 5)
ওজন 204 গ্রাম
রঙ Azure, Diamond Black, Platinum
IP রেটিং IP64 (ডাস্ট ও পানির ছিটা রোধী)

Vivo Y50 5G: বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন বিশ্লেষণ

১. ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি

Vivo Y50 5G-এর ডিজাইন আধুনিক এবং আকর্ষণীয়। ফোনটি এসেছে তিনটি রঙে—Azure, Diamond Black, Platinum

  • ডাইমেনশন: 167.3 x 76.95 x 8.19 মিমি

  • ওজন: 204 গ্রাম

  • IP64 রেটিং: ধুলো ও পানি ছিটা প্রতিরোধে সক্ষম

ফোনটি হাতে নিলে একটু ভারী মনে হতে পারে কারণ এতে রয়েছে 6000mAh বড় ব্যাটারি। তবে এই ওজনের কারণেই ফোনটি বেশ শক্তপোক্ত অনুভূত হয়।


২. ডিসপ্লে

  • সাইজ: 6.74 ইঞ্চি

  • রেজোলিউশন: 720×1600 পিক্সেল (HD+)

  • রিফ্রেশ রেট: 90Hz

90Hz রিফ্রেশ রেট থাকায় স্ক্রলিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং বা হালকা গেমিং-এ স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। যদিও এটি শুধুমাত্র HD+ রেজোলিউশন, তবুও বাজেটের কথা মাথায় রেখে বলা যায় ডিসপ্লেটি যথেষ্ট ভালো।


৩. পারফরম্যান্স

  • চিপসেট: MediaTek Dimensity 6300

  • র‍্যাম: 4GB

  • স্টোরেজ: 128GB

  • এক্সপান্ডেবল স্টোরেজ: নেই

Dimensity 6300 চিপসেটটি মিড-রেঞ্জের জন্য ভালো পারফরম্যান্স দেয়। হালকা ও মাঝারি গেমিং, মাল্টিটাস্কিং এবং 5G ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।


৪. ক্যামেরা

প্রধান ক্যামেরা:

  • ১৩ মেগাপিক্সেল (f/2.2 অ্যাপারচার)

  • ভিডিও রেকর্ডিং: 1080p

সেলফি ক্যামেরা:

  • ৫ মেগাপিক্সেল (f/2.2)

এই ক্যামেরা সেটআপটি মূলত সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য। দিবালোকের ছবি গড়পড়তা মানের হলেও, কম আলোয় কোয়ালিটি কমে যায়। ক্যামেরা প্রেমীদের জন্য এটি তেমন সন্তোষজনক নয়।


৫. ব্যাটারি ও চার্জিং

  • ব্যাটারি: 6000mAh

  • চার্জিং: 44W Flash Charge

বড় ব্যাটারি থাকায় সহজেই ১.৫-২ দিন পর্যন্ত চলবে। 44W ফাস্ট চার্জিং-এর মাধ্যমে মাত্র ১ ঘন্টার মধ্যে ৭০-৮০% চার্জ হয়ে যায়।

৬. অপারেটিং সিস্টেম ও ইন্টারফেস

OS: Android (OriginOS 5)

Vivo Y50 5G ডিভাইসটি চালিত হচ্ছে Android ভিত্তিক OriginOS 5 ইন্টারফেসে। এটি Vivo-এর নিজস্ব কাস্টমাইজড অপারেটিং সিস্টেম যা আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় আরও উন্নত ও স্মার্ট।

OriginOS 5-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:

ক্লিন ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস:
OriginOS 5-এর ডিজাইন সহজ ও ঝামেলাহীন। আপনি ফোন চালাতে গিয়ে জটিল মেনু বা অপ্রয়োজনীয় অপশন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়বেন না। এটি বিশেষ করে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক।

নতুন আইকন ডিজাইন ও অ্যানিমেশন:
এই ভার্সনে রয়েছে রিফ্রেশড আইকন প্যাক, স্মুথ অ্যানিমেশন এবং লিকুইড ইফেক্ট যা ফোন ব্যবহারে নতুনত্ব এনে দেয়।

ডায়নামিক ওয়ালপেপার ও Always On Display:
OriginOS 5-এ রয়েছে সুন্দর ও চলমান ওয়ালপেপার এবং Always On Display অপশন, যা আপনার লক স্ক্রিনকেও স্টাইলিশ করে তোলে।

এআই স্মার্ট ফিচার:
এআই ভিত্তিক বিভিন্ন ফিচার যেমন স্মার্ট জেসচার, স্মার্ট স্ক্রিন শট, স্মার্ট ডক ইত্যাদি আরও স্মার্টভাবে কাজ করে।

বেটার ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট:
OriginOS 5-এ রয়েছে উন্নত ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সিস্টেম, যার ফলে বড় ব্যাটারির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ব্যাকআপ নিশ্চিত হয়।

প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা:
ফোনের নিরাপত্তার জন্য OriginOS 5-এ রয়েছে উন্নত পারমিশন ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপ লক, প্রাইভেসি গার্ড এবং ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সুবিধা।

ফ্লোটিং উইন্ডো ও মাল্টিটাস্কিং:
আপনি চাইলে একসাথে একাধিক অ্যাপ চালাতে পারবেন ফ্লোটিং উইন্ডোর মাধ্যমে, যা মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতাকে সহজ করে তোলে।


৭. কানেক্টিভিটি ও সেন্সর

  • 5G সাপোর্ট: রয়েছে

  • Wi-Fi: হ্যাঁ

  • Bluetooth: v5.4

  • USB Type-C: রয়েছে

  • সেন্সর: ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক, অ্যাক্সিলেরোমিটার, প্রোক্সিমিটি, কম্পাস


Vivo Y50 5G

Vivo Y50 5G

Vivo Y50 5G কেন কিনবেন?

১. বড় ব্যাটারি (6000mAh)

দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করতে চান? এটি আপনার জন্য।

২. 44W ফাস্ট চার্জিং

এই দামে 44W চার্জিং পাওয়া বিরল। কম সময়ে বেশি চার্জ।

৩. 5G কানেক্টিভিটি

ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে চাইলে 5G থাকা জরুরি।

৪. 90Hz রিফ্রেশ রেট

বাজেট ফোনের মধ্যে স্মুথ স্ক্রলিং-এর অভিজ্ঞতা।

৫. IP64 রেটিং

ডাস্ট ও পানি ছিটা প্রতিরোধে সক্ষম, যা এই দামে বিশেষ সুবিধা।


Vivo Y50 5G কেন কিনবেন না?

১. ক্যামেরা গড়পড়তা

মাত্র ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা ফটোগ্রাফি প্রেমীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

২. ডিসপ্লে: HD+ নাকি Full HD+? বিস্তারিত বিশ্লেষণ

Vivo Y50 5G-এর ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে 6.74 ইঞ্চি এবং রেজোলিউশন 720×1600 পিক্সেল, অর্থাৎ এটি একটি HD+ ডিসপ্লে

HD+ ডিসপ্লে মানে কী?

HD+ রেজোলিউশন সাধারণত 720p থেকে কিছুটা বেশি পিক্সেলের স্ক্রিন। এখানে 720×1600 পিক্সেল থাকায় ভিডিও, গেমিং বা সাধারণ ইউজে ভালো মানের ভিজ্যুয়াল পাবেন, তবে তা Full HD+ নয়।

Full HD+ হলে কী সুবিধা হতো?

HD+ Full HD+
720×1600 পিক্সেল 1080×2400 পিক্সেল
কম পাওয়ার খরচ বেশি স্পষ্ট ও শার্প ডিসপ্লে
সাধারণ ভিজ্যুয়াল মান উন্নত ভিডিও ও গেমিং অভিজ্ঞতা
বাজেট ফ্রেন্ডলি মিড-রেঞ্জের প্রিমিয়াম লুক

HD+ ডিসপ্লের সীমাবদ্ধতা:

📱 কম পিক্সেল ডেনসিটি (ppi):
HD+ ডিসপ্লেতে পিক্সেল ডেনসিটি কম হওয়ায় ছোট লেখা বা আইকনগুলো তুলনামূলকভাবে কিছুটা ব্লার বা ধোঁয়াটে লাগতে পারে।

🎥 ভিডিও দেখা ও গেমিং:
YouTube বা Netflix-এ 1080p ভিডিও দেখতে চাইলে HD+ ডিসপ্লেতে সেই অভিজ্ঞতা পাবেন না। এতে শুধুমাত্র 720p পর্যন্ত ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন।

🎮

গেমিং ভিজ্যুয়াল: HD+ ডিসপ্লেতে গেম খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হবে?

বর্তমানে মোবাইলে গেম খেলার সময় শুধু পারফরম্যান্সই নয়, ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি আপনি PUBG Mobile, Call of Duty Mobile বা Asphalt 9-এর মতো হাই-গ্রাফিক্স গেম খেলেন, তখন ডিসপ্লের রেজোলিউশন ও পিক্সেল ডেনসিটি আপনার জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

HD+ ডিসপ্লেতে গেম খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হবে?

গেম চলে স্মুথলি কারণ লো-রেজোলিউশনে প্রসেসরের উপর চাপ কম থাকে।
✅ তবে গ্রাফিক্সের ডিটেইল কমে যাবে।

HD+ ডিসপ্লে হওয়ায় আপনি গেমের টেক্সচার, ছায়া (Shadow), রিফ্লেকশন, ঘাস, দেয়ালের ফাটল বা দূরের অবজেক্ট—এসবের ডিটেইল তুলনামূলকভাবে কম স্পষ্ট দেখতে পাবেন।


Full HD+ বনাম HD+ গেমিং ভিজ্যুয়ালের তুলনা:

বিষয় Full HD+ ডিসপ্লে HD+ ডিসপ্লে
টেক্সচার ডিটেইল শার্প, স্পষ্ট কিছুটা ব্লার্ড বা ধোঁয়াটে
FPS ভিজিবিলিটি এনিমি দূর থেকেও সহজে দেখা যায় দূরের এনিমি বা অবজেক্ট দেখতে কষ্ট হয়
কালার এক্যুরেসি আরও জীবন্ত রঙ তুলনামূলকভাবে হালকা রঙ
ছায়া ও আলো (Shadow & Lighting) রিয়েলিস্টিক ইফেক্ট তুলনামূলক সাধারণ
দীর্ঘ সময় খেলা চোখের আরাম বেশি চোখে কিছুটা চাপ পড়তে পারে

উদাহরণ দিয়ে বুঝি:

  • PUBG Mobile:
    Full HD+ স্ক্রিনে দূরের শত্রুকে পরিষ্কার দেখতে পারবেন, বিশেষ করে ঘাসের মধ্যে লুকানো প্লেয়ারদের। HD+ স্ক্রিনে সেগুলো অনেক সময় মিস হতে পারে।

  • Call of Duty Mobile:
    এনিমি ডিটেইল, অস্ত্রের শেডিং, মেপের ভিজ্যুয়াল স্পষ্ট হবে Full HD+ ডিসপ্লেতে। HD+ ডিসপ্লেতে কিছুটা কম ডিটেইল পাবেন, যদিও গেমপ্লে স্মুথ থাকবে।

  • Asphalt 9:
    কারের রিফ্লেকশন, রাস্তায় আলো-ছায়া, পানির ছিটা—এসব Full HD+ ডিসপ্লেতে অনেক বেশি রিয়েলিস্টিক দেখায়। HD+ ডিসপ্লেতে এই সব ইফেক্টের ডিটেইল কমে যাবে।


HD+ ডিসপ্লের সুবিধা গেমিংয়ে:

স্মুথ পারফরম্যান্স:
লো-রেজোলিউশনে GPU-র চাপ কম পড়ে, তাই মিড-রেঞ্জ চিপসেটে গেম স্মুথলি চলে।

কম হিটিং:
HD+ ডিসপ্লে থাকায় ফোন অতিরিক্ত গরম হয় না।

বড় ব্যাটারি ব্যাকআপ:
HD+ ডিসপ্লে Full HD+ এর তুলনায় কম ব্যাটারি খরচ করে। ফলে গেম খেলার সময় বেশি সময় চার্জ থাকে।


কেন গেমারদের জন্য Full HD+ বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

🎮 যারা প্রতিযোগিতামূলক গেম খেলেন যেমন PUBG Ranked Match, Call of Duty Ranked, eSports Tournament, তাদের জন্য ডিসপ্লের ডিটেইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ছোট ছোট অবজেক্ট বা দূরের শত্রুকে স্পট করা সহজ হয়।

🎨 গেমের গ্রাফিক্স এনজয় করতে চান? তাহলে Full HD+ ডিভাইসই সেরা।


তাহলে কেন HD+ দেওয়া হলো?

মূল্য কমানোর জন্য:
Full HD+ ডিসপ্লে যুক্ত করলে ফোনের খরচ বাড়ত। Vivo Y50 5G একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি 5G ফোন, তাই খরচ কমানোর জন্য HD+ ডিসপ্লে রাখা হয়েছে।

ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে:
HD+ ডিসপ্লে কম পাওয়ার খরচ করে। ফলে 6000mAh ব্যাটারি আরও বেশি সময় চার্জ ধরে রাখতে পারে।

প্রসেসরের লোড কমাতে:
Dimensity 6300 চিপসেট মিড-রেঞ্জের জন্য উপযুক্ত। HD+ ডিসপ্লে থাকায় প্রসেসরের উপর গ্রাফিক্সের চাপ কম পড়ে। ফলে স্মুথ পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।


কারা সমস্যায় পড়তে পারেন?

  • যারা ভিডিও কনটেন্ট অনেক বেশি দেখেন

  • যারা গেমের গ্রাফিক্সের প্রতি সংবেদনশীল

  • যারা পড়ার জন্য বড় স্ক্রিনে শার্প টেক্সট পছন্দ করেন

৩. ভারী ওজন

২০৪ গ্রাম ওজন কিছু ইউজারের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।

৪. মেমোরি কার্ড সাপোর্ট নেই

১২৮ জিবি স্টোরেজ থাকলেও এক্সপান্ড করতে পারবেন না।


Vivo Y50 5G কাদের জন্য উপযুক্ত?

✅ যারা বড় ব্যাটারি চান
✅ যারা বাজেটে 5G ফোন চান
✅ যারা গেম ও নরমাল ইউজের জন্য ফোন খুঁজছেন
✅ যারা ফাস্ট চার্জিং পছন্দ করেন


কাদের জন্য নয়?

❌ যারা ভালো ক্যামেরা চান
❌ যারা Full HD+ ডিসপ্লে চান
❌ যারা হালকা ওজনের ফোন পছন্দ করেন


বিকল্প হিসেবে দেখতে পারেন

বিকল্প ফোন দাম
Redmi 13 5G প্রায় ১৮,০০০ টাকা
Realme Narzo 60x প্রায় ১৭,৫০০ টাকা
Infinix Zero 5G 2023 প্রায় ১৯,০০০ টাকা

Vivo Y50 5G এর মূল্য (সম্ভাব্য)

চীনে লঞ্চ প্রাইস অনুযায়ী বাংলাদেশে ফোনটির আনুমানিক দাম হতে পারে প্রায় ১৬,০০০ – ১৭,০০০ টাকা


Vivo Y50 5G: ভালো-মন্দের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

ভালো দিক (যেসব কারণে কিনবেন)

১. শক্তিশালী ব্যাটারি (6000mAh)

Vivo Y50 5G-র সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এর 6000mAh ব্যাটারি। এই বিশাল ব্যাটারির ফলে আপনি সহজেই পুরো দিন, এমনকি হালকা ইউজে দুই দিনও চালাতে পারবেন।
দীর্ঘ সময় গেম খেলা, ভিডিও দেখা, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া চালানোর জন্য এটি দারুণ উপযোগী।

২. দ্রুত চার্জিং (44W Flash Charge)

6000mAh ব্যাটারি দ্রুত চার্জ দিতে পারে 44W ফ্ল্যাশ চার্জিং সুবিধা। এই চার্জিং স্পিডে মাত্র ১ ঘণ্টার আশেপাশেই প্রায় ফুল চার্জ পাওয়া যায়।

৩. 5G কানেক্টিভিটি

এই বাজেটের মধ্যে 5G সাপোর্ট পাওয়া অনেক বড় সুবিধা। ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইলে, এটি নিশ্চিতভাবেই একটি ভালো দিক।

৪. MediaTek Dimensity 6300 প্রসেসর

Dimensity 6300 একটি নির্ভরযোগ্য মিড-রেঞ্জ প্রসেসর।
✔️ সাধারণ কাজ
✔️ হালকা-মাঝারি গেমিং
✔️ মাল্টিটাস্কিং – সবকিছু সুন্দরভাবে করতে পারবেন।

৫. 128GB ইন্টারনাল স্টোরেজ

এই ফোনে ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে, যা এই দামের ফোনের জন্য বড় পাওয়া। আপনি প্রচুর ছবি, ভিডিও ও অ্যাপ রাখতে পারবেন।

৬. OriginOS 5 (Android ভিত্তিক)

OriginOS 5 ইন্টারফেস ব্যবহার করা সহজ ও ক্লিন। এতে রয়েছে স্মার্ট ফিচার, ভালো ব্যাটারি অপটিমাইজেশন ও স্মুথ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।

৭. IP64 রেটিং (ডাস্ট ও স্প্ল্যাশপ্রুফ)

সাধারণ ধুলাবালি ও পানির ছিটা থেকে ফোন সুরক্ষিত থাকবে। বাজেট ফোনে এটি পাওয়া বেশ ভালো দিক।

৮. ডিসেন্ট ক্যামেরা (13MP + 5MP)

যারা নরমাল ফটোগ্রাফি করেন, তাদের জন্য ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা মোটামুটি ভালো ছবি তুলবে।

৯. 90Hz রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লে

HD+ হলেও ডিসপ্লেতে রয়েছে 90Hz রিফ্রেশ রেট। ফলে স্ক্রলিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং ও মেনু নেভিগেশনে স্মুথনেস পাবেন।


Vivo Y50 5G

খারাপ দিক (যেসব কারণে না কিনলেও পারেন)

১. HD+ ডিসপ্লে, Full HD+ নয়

এই দামে অনেক ফোন Full HD+ ডিসপ্লে দিচ্ছে।
Vivo Y50 5G-তে রয়েছে শুধু 720×1600 (HD+) রেজোলিউশন
যারা বেশি ভিডিও দেখেন বা গেমের ডিটেইল চান, তাদের জন্য এই ডিসপ্লে কিছুটা হতাশাজনক।

২. ক্যামেরা সেটআপ খুবই সাধারণ

বর্তমানে বাজেট ফোনেও ডুয়েল/ট্রিপল ক্যামেরা থাকে।
Vivo Y50 5G-তে শুধুমাত্র ১৩ মেগাপিক্সেল সিঙ্গেল ক্যামেরা
রাতের ছবি তুললে গ্রেইন হতে পারে। পোর্ট্রেট মোড ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেল নেই।

৩. 5 মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা

সেলফি প্রেমীদের জন্য এই ক্যামেরা রেজোলিউশন কিছুটা কম। বর্তমানে ৮MP বা ১৬MP ফ্রন্ট ক্যামেরা পাওয়া যায়।

৪. প্লাস্টিক বডি

ডিভাইসটির পিছনের অংশ প্লাস্টিকের তৈরি। ফলে প্রিমিয়াম ফিলিং পাবেন না। স্ক্র্যাচ পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫. ওজন বেশি (204g)

৬০০০ mAh ব্যাটারির কারণে ফোনের ওজন বেশ ভারী। এক হাতে বেশি সময় ধরে ধরলে হাতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৬. নাইট মোড বা OIS নেই

রাতের ছবি তুলতে আলাদা নাইট মোড বা স্ট্যাবিলাইজেশন নেই। ভিডিও রেকর্ডিং করলেও হাত কাঁপলে সমস্যা হতে পারে।

৭. কোনো আলাদা গেমিং ফিচার নেই

যারা গেমিং করেন, তারা যদি গেম বুস্টার, কুলিং সিস্টেম বা হাই পারফরম্যান্স মোড আশা করেন—এই ফোনে সেগুলো পাবেন না।


সংক্ষেপে ভালো-মন্দ তালিকা:

ভালো দিক খারাপ দিক
বিশাল 6000mAh ব্যাটারি HD+ ডিসপ্লে (Full HD+ নয়)
44W ফাস্ট চার্জিং ক্যামেরা খুবই সাধারণ
5G কানেক্টিভিটি সেলফি ক্যামেরা 5MP
128GB স্টোরেজ প্লাস্টিক বডি ও বেশি ওজন
OriginOS 5 স্মার্ট UI গেমিং ফিচার নেই
IP64 রেটিং নাইট মোড বা OIS নেই

শেষ কথা: Vivo Y50 5G কিনবেন কিনা?

যাদের জন্য উপযুক্ত:

✅ যারা বাজেটের মধ্যে বড় ব্যাটারি চান
✅ যারা 5G ফোন খুঁজছেন
✅ যারা বেশি স্টোরেজ চান
✅ যারা সাধারণ ব্যবহারে দীর্ঘ সময় চার্জ চান

যাদের জন্য নয়:

❌ যারা বেশি ভালো ক্যামেরা চান
❌ যারা Full HD+ ডিসপ্লে চান
❌ যারা হেভি গেমিং করেন

Vivo Y50 5G নিয়ে ভাবছেন? Humm… 6000mAh ব্যাটারি, 5G সাপোর্ট, 128GB স্টোরেজ—সবই আছে। তবে ডিসপ্লে আর ক্যামেরার দিকটাও ভেবে দেখুন। বিস্তারিত রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নিন!

Vivo Y50 5G (2025) হলো একটি বাজেট 5G ফোন যার মূল আকর্ষণ বড় ব্যাটারি, 44W ফাস্ট চার্জিং এবং IP64 রেটিং
যদি আপনি হেভি গেমার না হন এবং ক্যামেরার প্রতি খুব বেশি গুরুত্ব না দেন, তবে এই ফোনটি আপনার জন্য দারুণ চয়েস হতে পারে। তবে যদি ক্যামেরা এবং ডিসপ্লে প্রাধান্য দেন, তাহলে বিকল্প ফোন চিন্তা করা উচিত।



আপনার মতামত লিখুন :

Comments (0)

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর