শিরোনাম:
শিরোনাম:
৭টি কারণ কেন আপনি Scale AI ব্যবহার করবেন (এবং কবে করবেন না) FIFA Club World Cup 2025: ক্লাব ফুটবলের নতুন অধ্যায়ের সূচনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে Father’s Day উদযাপন: সংস্কৃতি, তারিখ এবং ইতিহাস যা বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সেরা দিন Aiden Markram: দক্ষিণ আফ্রিকার আধুনিক ক্রিকেটের সাহসী নেতা Samsung One UI 8 আপডেট ট্র্যাকার: কোন ডিভাইসে কবে আসছে নতুন ফিচার সমৃদ্ধ আপডেট Vivo T4 Ultra: নতুন যুগের স্মার্টফোনের সম্পূর্ণ পর্যালোচনা Oppo K13x: বাজেটের মধ্যে পাওয়া প্রিমিয়াম ফিচারসমৃদ্ধ 5G স্মার্টফোন Xiaomi HyperOS: আপনার স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা বদলে দেবে আশ্চর্যজনক এই ৫টি ফিচার Huawei Pura 80 Ultra রিভিউ: হুয়াওয়ের সেরা ফ্ল্যাগশিপ ফোন OnePlus Nord 5 Price in Bangladesh 2025 – নতুন চমক নিয়ে বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫!

২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচার হবে

মোঃ মাহবুবুল আলম
সময় : বুধবার, আগস্ট ২৮, ২০২৪

২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের রাতে ভোট প্রদান, এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে একটি দুর্ভেদ্য মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো। এই তিনটি নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো ন্যূনতম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশিরভাগ বিরোধীদল অংশগ্রহণ করেনি। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকেও নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করেছিলেন, যেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ রাকিবউদ্দিন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে দেওয়া হয়, যা ছিলো পুরোপুরি একটি পরিকল্পিত চাতুর্য। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আয়োজিত হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করে। শেখ হাসিনা নিজ দলের প্রার্থীদের ডামি প্রার্থী করে প্রায় ৩০০ আসনে এমপি নির্বাচিত করেন। এই নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই নির্বাচনে সাধারণ মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি, এবং দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠিত হয় মাফিয়াতন্ত্র।

গত দেড় দশকে, দেশব্যাপী দুর্নীতি, অর্থ পাচার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, দারিদ্র্যের মতো সমস্যাগুলি তীব্র আকার ধারণ করে। রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে শেখ হাসিনা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো কালাকানুন প্রণয়ন করেন। বাক স্বাধীনতা হরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা এবং গায়েবী মামলা করে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত রাখা হয়।

এরপর সাধারণ ছাত্রদের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ নামে শুরু হয় একটি বিদ্রোহ, যা সরকার চেষ্টা করেও দমন করতে পারেনি। এই বিদ্রোহের সময়ে শেখ হাসিনার প্রশাসন হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে আন্দোলনরত মানুষদের হত্যা করে। তবে, শেষ পর্যন্ত, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।

অবশেষে, ছাত্র-জনতার সমর্থনে দেশের দায়িত্ব নেন বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার দেশের সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুশাসন ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত দুর্নীতি, দুঃশাসন, হত্যা, গুম-খুনের বিচার শুরু হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

Tags

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আদালতের রায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গণতন্ত্র গ্রেপ্তার ১২ চট্টগ্রাম ছাত্র আন্দোলন জাতীয় নির্বাচন জাতীয় ঐক্য ড. ইউনূস ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেক রহমান ত্রিশাল দুর্নীতি নাহিদ ইসলাম নির্বাচন নির্বাচন কমিশন পাকিস্তান প্রধান উপদেষ্টা প্রশাসনিক সংস্কার ফিলিস্তিন বাংলাদেশ বাংলাদেশ অর্থনীতি বাংলাদেশ নির্বাচন বাংলাদেশ ফুটবল বাংলাদেশ রাজনীতি বিএনপি ভারত ময়মনসিংহ মানবাধিকার মুহাম্মদ ইউনূস রাজনীতি রাজনৈতিক ঐক্য রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক সংলাপ শেখ হাসিনা সংবিধান সচিবালয় সিঙ্গাপুর বনাম বাংলাদেশ সিলেটে কারফিউর মধ্যেও থেমে নেই চিনি চোরাচালান সুশাসন সেনাবাহিনী ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল খেলাপি ঋণের পরিমাণ

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!