২০২৫ সালের আপডেটেড Vivo iQOO 12 রিভিউ, যেখানে রয়েছে Android 15, Funtouch OS 15, এবং বর্ধিত সফটওয়্যার সাপোর্টের পাশাপাশি পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং গেমিং অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া Vivo iQOO 12 ছিল সেই সময়ের অন্যতম শক্তিশালী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন। তবে ২০২৫ সালের আগস্টে এসে ডিভাইসটি পেয়েছে Android 15 ও Funtouch OS 15 এর মেজর আপডেট। সঙ্গে থাকছে ৪ বছরের মেজর আপডেট ও ৫ বছরের সিকিউরিটি প্যাচ সাপোর্ট।
iQOO 12 এখনও কি একটি ভালো ইনভেস্টমেন্ট? আজকের এই আপডেটেড রিভিউয়ে আমরা বিশ্লেষণ করব ফোনটির বর্তমান পারফরম্যান্স, গেমিং, ক্যামেরা, সফটওয়্যার ফিচার, ব্যাটারি ও আপডেট পলিসি নিয়ে।
ম্যাটালিক ফ্রেম + গ্লাস ব্যাক: প্রিমিয়াম লুক ও হ্যান্ড ফিল
BMW M এডিশন: হোয়াইট কালারে এক্সক্লুসিভ BMW M লোগো যুক্ত ডিজাইন
ওজন ও সাইজ: ১৯৮.৫ গ্রাম, ৮.১ মিমি পুরু
IP64 রেটিং: কেবল চীনা ভার্সনে পানির ছিটা ও ধুলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষা
ডিজাইনের দিক থেকে, iQOO 12 এখনও আধুনিক ও স্টাইলিশ। ফ্ল্যাগশিপ মানের ফিনিশ ও গ্রিপ নিশ্চয়ই চোখে পড়ার মতো।
LTPO4 AMOLED প্যানেল — 6.78 ইঞ্চি, 144Hz রিফ্রেশ রেট
144Hz পর্যন্ত স্লাইডিং স্ক্রলিং — স্মুথ নেভিগেশন
1400 nits (HBM) ও 3000 nits (পিক ব্রাইটনেস) — বাইরে সূর্যের আলোতেও স্পষ্ট দৃশ্যমানতা
HDR10+ সাপোর্টেড — Netflix বা YouTube HDR কনটেন্ট দারুণভাবে উপভোগযোগ্য
স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৮৯.৬%, যা প্রায় বেজেললেস অভিজ্ঞতা দেয়।
চিপসেট: Snapdragon 8 Gen 3 (4nm)
GPU: Adreno 750
RAM: ১২ ও ১৬ জিবি, LPDDR5X
স্টোরেজ: ২৫৬ জিবি থেকে শুরু করে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত, UFS 4.0
🎮 গেমিং এক্সপেরিয়েন্স:
Free Fire, PUBG Mobile, Genshin Impact—সবই Ultra Settings-এ ৬০-৯০ FPS এ চলে
১৪৪Hz স্ক্রিনের কারণে মোশন ব্লার প্রায় নেই
কুলিং সিস্টেম: স্ট্যাবল পারফরম্যান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে
ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ (রিয়ার):
৫০ MP (ওয়াইড, f/1.7) — অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন সহ
৬৪ MP (পেরিস্কোপ টেলিফটো, ৩x অপটিক্যাল জুম)
৫০ MP (আল্ট্রাওয়াইড, ১১৯° ভিউ এঙ্গেল)
সেলফি ক্যামেরা:
১৬ MP, f/2.5
HDR সাপোর্টেড, ভিডিও 1080p@30fps
🎥 ভিডিও রেকর্ডিং ক্ষমতা:
8K@30fps
4K@60fps পর্যন্ত
1080p@240fps স্লো মোশন
🌃 নাইট মোড পারফরম্যান্স: ক্যামেরার ছবি কম আলোতেও দারুণ শার্প আসে।
ব্যাটারি: ৫০০০ mAh Li-Po
চার্জিং: ১২০W সুপার ফাস্ট চার্জার
০%-১০০% চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ১৯ মিনিট
📱 ব্যাকআপ পারফরম্যান্স:
নরমাল ইউজে ১.৫ দিন
গেমিং/ভিডিও স্ট্রিমিং এ ৮-১০ ঘণ্টা অনায়াসে চলে
নতুন ফিচারস: রিডিজাইনড UI, এডভান্সড ব্যাটারি অপটিমাইজেশন, Material You ইন্টিগ্রেশন
Circle to Search: নতুন গুগল সার্চ ফিচার সাপোর্টেড
Multi-Window অপশন উন্নত
ডিভাইস কন্ট্রোল ও প্রাইভেসি অপশন উন্নত
আপডেট পলিসি: ৪টি বড় অ্যান্ড্রয়েড আপডেট ও ৫ বছরের নিরাপত্তা প্যাচ
৫জি + LTE-A
Wi-Fi 7, Bluetooth 5.4, NFC, Infrared, OTG
অডিও: স্টেরিও স্পিকার + Snapdragon Sound + ২৪-bit/192kHz Hi-Res অডিও
সেন্সর:
আন্ডার ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট
জাইরো, প্রক্সিমিটি, কম্পাস, অ্যাক্সিলারোমিটার, কালার স্পেকট্রাম
আগস্ট ২০২৫-এর সর্বশেষ বাজার মূল্য: ৭০,০০০ টাকা (১২GB RAM + ২৫৬GB ROM)
উপলব্ধতা: অনানুষ্ঠানিক মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে
কালার ভ্যারিয়েন্ট: ব্ল্যাক, রেড, BMW M হোয়াইট
ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স
১২০W ফাস্ট চার্জিং
দুর্দান্ত ডিসপ্লে ও ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা
৫জি সাপোর্ট ও ভবিষ্যতপ্রস্তুত সফটওয়্যার সাপোর্ট
স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট অনেক
মেমোরি কার্ড সাপোর্ট নেই
৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক অনুপস্থিত
বাংলাদেশে অফিশিয়ালি এখনো লঞ্চ হয়নি
১. Vivo iQOO 12 কি Android 15 আপডেট পেয়েছে?
হ্যাঁ, এখন এই ফোনে Android 15 ও Funtouch OS 15 ইনস্টল করা যাচ্ছে।
২. কতদিন পর্যন্ত সফটওয়্যার আপডেট পাবে?
৪ বছরের Android আপডেট ও ৫ বছরের সিকিউরিটি প্যাচ নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩. গেমিংয়ের জন্য কি ভালো?
অত্যন্ত ভালো। Genshin Impact, PUBG, COD Mobile সবই Ultra settings-এ চলতে সক্ষম।
৪. ব্যাটারি কতক্ষণ চলে?
নরমাল ব্যবহারে ১.৫ দিন, হেভি গেমিংয়ে ৮–১০ ঘণ্টা।
৫. এই ফোনটি কোথায় তৈরি হয়েছে?
এই ফোনটি Vivo দ্বারা চীনে তৈরি।
Vivo iQOO 12 এখনো ২০২৫ সালে এসে একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতপ্রস্তুত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন। যারা গেমিং, হাই-রেজোলিউশন ভিডিও দেখা, ক্যামেরা ও দীর্ঘ সফটওয়্যার সাপোর্ট চায়—তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ নির্বাচন হতে পারে।
আপনার বাজেট যদি ৭০ হাজার টাকার মধ্যে হয় এবং আপনি একটি দীর্ঘমেয়াদি স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাহলে iQOO 12 আপনাকে হতাশ করবে না।