ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যেকোনো মূল্যে স্টারলিংক বাংলাদেশে আনা হবে। তিনি রোববার (৯ মার্চ) প্রেসক্লাবে ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।
ফয়েজ আহমদ জানান, মোবাইল ও আইএসপি অপারেটরদের ইন্টারনেট মূল্য কমানো উচিত এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় সর্বনিম্ন গতি ২০ এমবিপিএসের বেশি হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে মোবাইল সেবায় কিছু বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তবে এগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। পাশাপাশি, সরকার যাতে কখনো ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হবে।
৮ মার্চ তিনি জানান, স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে এবং তারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। স্টারলিংক বাংলাদেশে শহর, প্রান্তিক অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও উপকূলে উচ্চমানের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে, যা লোডশেডিং ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যার সমাধান করবে। এটি বাংলাদেশের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও এসএমই ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহায়তা করবে। তারা ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ ফেব্রুয়ারি স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যাতে তিনি বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। প্রধান উপদেষ্টা তার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন, ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিংক সেবা চালু করতে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে।